মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

হাজীগঞ্জে দক্ষিণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় উজানের পানি নেমে গত দুই দিনে প্রায় কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার ১০নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ বাড়িঘর পানির উঠছে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের এবং গবাদিপশুর ঘর।

দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক মানুষ। তারা গত তিন দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার—পরিজন নিয়ে আছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন গবাদিপশুসহ হাঁস—মুরগি।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জাকির হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ার কারণে বৃদ্ধা মাসহ পরিবার—পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। কবে পানি কমবে সেই চিন্তায় আছি।’

তানিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে এখন কী অবস্থায় আছে তা—ও জানি না।’

পার্শ্ববর্তী পয়ালজেশ গ্রামের মাহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণপাড়ার সব বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের দেখার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’

একই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে চার দিন আমাদের এলাকায় পানি। নোয়াখালি ও লক্ষীপুরের পানি আমাদের এলাকায় চাপ দেওয়ায় ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ডাকাতিয়া নদী দিয়ে বানের পানি প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কমছে না।’

এ দিকে কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়,পয়ালজোস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কাকৈরতলা জনতা কলেজ,শ্যামলীমা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মালিগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে পানি বন্দী পরিবার।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজের সদস্য বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিন যারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তাদের খুঁজে খুঁজে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে দুর্গত মানুষের পাশে সকলেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com