মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পশুর হাটগুলোতে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না

জিটিবি নিউজঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পশুরহাটগুলো করোনায় যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন দিন করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর কোরবানিকে সামনে রেখে হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই।

হাটগুলোতে মাক্স, হেন্ডগ্লোবস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খনি ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস সাড়াদেশের মত মহামারি আকারে ছড়িয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলায়।

এরপরেও হাটগুলোতে পশুগুলোর কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজারগুলোতে নেই কোন পশু রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে সদর উপজেলার বড়খোচাবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহীড়ি হাটসহ জেলার বিভিন্ন পশুরহাট গুলোতে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪৭ জন মানুষ, সুস্থ হয়েছে ১৬০জন ও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অন্যদিকে জেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে আড়াই হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২০টি গরুর।

গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরুগুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করা হচ্ছে। মাক্স বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা কিন্তু তাও নানা অযুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসের কারণে গরুর দাম অনেক কমে গেছে।

হাট ইজারাদার ও স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধি কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশু ক্রয়-বিক্রয় করার কথা স্বীকার করে বলছেন, তারা জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন এমন কি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের র্নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটরাও হাট-বাজার গুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে অনেককে জরিমানাও করছেন। কিন্তু তার পরেও জনগণ তা মানছেন না।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কোরবানির ১৫ দিন আগে থেকে গরুর হাটগুলোতে তাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। ইতোমধ্যে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়ে যাতে উপকৃত হয় তার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে গরুর হাটগুলোতে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, বিশেষ করে গরুর হাট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল ও মানুষের আয় রোজকার ঠিক রাখার জন্য এই হাটগুলোকে খুলে দেওয়া হয়েছে। হাট মানেই জনসমাগম। তারপরেও যতটা সম্ভব সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কেউ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com