মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে কুপিয়ে দাদী ও নাতীকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক নাতনী। সোমবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়ীর তিন পরিবারের পুরুষ সদস্যরা প্রবাসে ছিল।
নিহত হামিদুন্নেছার ছোট ছেলের স্ত্রী বলেন ,বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দাদী হামিদুন্নেছা (৭০) নিহত হয়। আর নাতী আরাফাত হোসেন (১২) হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনী হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদয়ালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। মা শাহিনা বেগম বলেন, তার চার সন্তান। দুই সন্তান তাদের দাদুর কাছে ঘুমিয়ে ছিল।
বাড়ীর চাচাতো ভাই আবদুল গণি বলেন, হত্যার পেছনে দুইটি কারণ থকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদেরকে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমকী দিয়েছে বলে দাবী করা হয়।
ইউপি সদস্য মো. অরুণ জানান, রাতে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদীকে জবাই করে হত্যা করা হয়। আর নাতী-নাতনীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেয়ার পর নাতী মারা যান। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ দুইটি হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে