মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

হাজীগঞ্জের কাঠালীতে নামে শিশুপার্ক, কাজে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়া …

মজিবুর রহমান রনি

হাজীগঞ্জ এক জনবহুল শহর । মানুষ একটু ছুটি বা অবসর পেলেই শিশু পার্কে তার সন্তান্দের নিয়ে যান প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায়। এই কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক শহরের বিশাল বিশাল দালান—কোঠার মধ্য থেকে কিছুটা সময় খোলা আকাশের নিচে কাটানোর জন্য ছুটে যান সবুজের সমারহ হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের কাঠালী গ্রামে অবস্থিত কাঁঠালী চিলড্রেন পার্কে । তবে সবার জন্য এই শিশু পার্ক এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে। স্কুল, কলেজ ও পড়ুয়া ছেলে—মেয়েরা সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কের মধ্যে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকেই নানান অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে।

গাছের আড়ালে ,পুকুরের পাড়ে, ছাউনির নিচেই শিক্ষার্থীরা অশ্লীলতার নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নেয়।

যেমনটা রবিবার দুপুরে চিলড্রেন পার্কে গিয়ে তরুণ—তরুণীদের অশ্লীলতাও চোখে পড়েছে বেশ ভালোভাবে।

বর্তমানে পার্কটিকে শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর মেলামেশার অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। এসব জায়গায় স্কুল—কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্যেই বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের এইসব কার্যকলাপ পশ্চিমাদেরও হার মানিয়েছে।

সারাদিন সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অতি আধুনিক স্কুল—কলেজের প্রেমিক—প্রেমিকেরা প্রেমের নামে মিলিত হচ্ছে অনৈতিক সম্পর্কে।তরুণ—তরুণীদের প্রায়ই আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়।

এই অবস্থায় তাদের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পাশাপাশি এসব কারণে হাজীগঞ্জের শিক্ষক ও অবিভারকরাও তাদের সন্তাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
এলাকার লোকজন বলছে শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবারই সচেতন হওয়া দরকার।

তা না হলে দিন দিন আমাদের সমাজ ধ্বংসের দিকে যাবে এবং তরুণ—তরুণীদের জীবনে অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো বেড়েই চলবে।

অন্যদিকে যারা ছুটির দিনে বা কর্মব্যস্ত যান্ত্রিকতাকে ভুলতে এক চিলটে সবুজের সান্নিধ্য লাভে প্রাণ ভরে সতেজ অক্সিজেন গ্রহণ করতে এই স্থানে আসে কিন্তু বর্তমানে এই সমস্ত ছেলে মেয়েদের অশ্লীল কর্মকান্ড দেখে তারা আর আসছে না।

কারণ হিসেবে তারা জানায় ভদ্র পরিবারের কেউ এ পার্কে একবার যদি ভুলক্রমে প্রবেশ করে পুনরায় আর কোন দিন সেখানে যাবার নাম মুখেও পর্যন্ত নিবে না।

পার্কটিতে বিনোদন বলতে কিছুই নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পার্কগুলোতে অসংখ্য প্রেমিক—যুগলের ভীড় লেগে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা যে কর্মকান্ড করে সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

এদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল—কলেজ পড়ুয়া কিশোর—কিশোরী বা যুবক—যুবতী।

পার্ক বা উদ্যানগুলোতে সতর্কবাণী থাকলেও কার্যত এই নির্দেশনা লোক দেখানো।

উদ্যানগুলোতে ঘুরতে যাওয়া এক পরিবার বলেন, ‘সুস্থ কোন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে উদ্যানগুলোতে ঘোরাফেরা করার কোন অবকাশ নেই। প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকা, চোঁখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

পার্কের একজন কর্রচারী জানান , আমরা সবাইকে নিষেধ করি.. যাতে এমন কাজ না করে.

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com