বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

শ্রমিকদের মজুরি দিতে কাবিখা চাউল বিক্রি করে বিপাকে চেয়ারম্যান মেম্বার

মজিবুর রহমান রনি

কাজের বিনিময় খাদ্য প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারে মাটিকাটা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে চাউল বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন চেয়ারম্যান মেম্বার।

কাবিটা প্রকল্পে চাউল এখন গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। কাজের বিনিময় খাদ্য হলেও চাউল নিতে নারাজ শ্রমিকরা।

কাঁচা রাস্তা সংস্কারে মাটিকাটা শ্রমিকদের মজুরি দিতে কাবিটা প্রকল্পের চাউল বিক্রি বিব্রত পরিস্থিতির শিকার হয়েছে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ৮৩ বস্তা সরকারি চাউল উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

গত ২৫ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়নের দেশগাঁও আটিয়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি রিফাত জাহান। চাউল গুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক না করলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, ইউপি সদস্য আমির হোসেনসহ দুই চাউল ক্রেতাকে অভিযুক্ত করা হয়।
ঈদুল আযহার পূর্বে খাদ্য বান্ধব্য কর্মসূচির আওতায় জিআর প্রকল্পের চাউল বিতরণ শত ভাগ বিতরণ সম্পন্ন হলেও এ চাউল নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
তবে উদ্ধার করা চাউল তদন্তে কাজ করছে প্রশাসন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক’কে কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ১৩ জুন এবং ২০ জুন কাশিমপুর রাগৈই বিলের সুবাস বাবুর বাড়ি হইতে নতুন মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে কাবিখা প্রকল্পের ২ ভাগে ৪টন বরাদ্ধের চাউল উত্তোলন করা হয়।
প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আমির হোসেন শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে স্থানীয় চাউলের ডিলার জাহাঙ্গীরে কাছে দুই টন এবং দেশগাঁও আটিয়া বাড়ির কালু মিয়ার কাছে ২টন চাউল বিক্রয় করে।

উদ্ধার অভিযানের দুইদিন আগে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে এসব চাউল উত্তোলন করেন তা বিক্রয় করা হয়। কাবিখা প্রকল্পের চাউল শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে নিয়ম অনুযায়ী বিক্রয় করা হয়েছে বলে দাবী করেন প্রকল্প সভাপতি আমির হোসেন।

ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু নিজেকে নির্দোষ এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবী করে আসছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি চাউল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে কোন প্রকল্পের চাউল

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com