শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

করোনার হটস্পট কলকাতা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থামেনি ভারতে। বরং বেড়েই চলেছে। তাই করোনার হাত থেকে বাঁচাতে ভারতের ৭৩০টি জেলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে রেড জোন, হোয়াইট জোন এবং গ্রিন জোন করা হয়েছে। কলকাতাসহ ভারতের ছয়টি মহানগর পড়েছে হটস্পটে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেশের ৭৩০টি জেলাকে তিন ভাগে ভাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। হটস্পট বা রেড জোনে থাকা মহানগরগুলো হচ্ছে কলকাতা মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। এ ছাড়া ১৭০টি জেলা রেড জোনে রয়েছে। এই রেড জোনের বাসিন্দাদের নিজ এলাকা থেকে বের হওয়া বা ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ সংক্রমিত এই জোনে পড়েছে। আবার রাজ্যগুলোর হটস্পটগুলোও পড়েছে এই রেড জোনের আওতায়। রাজ্যেরও ৮০ শতাংশ সংক্রমিতরা এই রেড জোনের আওতায়। আবার রেড জোনের আওতায় থাকা ১৭০টি জেলার মধ্যে ১২৩টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অত্যন্ত সংক্রমিত’ জেলা হিসাবে। এই ১২৩টির মধ্যে রয়েছে দিল্লির নয়টি জেলা। আর ২০৭টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হোয়াইট জোন হিসেবে। এই হোয়াইট জোন আবার করোনার সম্ভাব্য আক্রমণে রেড জোন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশের ৩৫৩টি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ্রিন জোন হিসাবে। এখানে সংক্রমণ সংখ্যা প্রায় শূন্য।

লব আগরওয়াল জানান, হটস্পটগুলোয় আরও ২৮দিন জারি থাকবে নিষেধাজ্ঞা। চালানো হবে এখানে ব্যাপকভাবে নজরদারি। পরীক্ষা করা হবে করোনাভাইরাস । বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে কারও জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা রয়েছে কিনা। গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তস্থল থেকে তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকাকে রেড জোন এবং সাত কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকাকে বাফার বা অরেঞ্জ জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। এই জোন নির্বাচন করবে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। হটস্পট এলাকার সংক্রমিতদের করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই তারা রেড জোনের তালিকা থেকে মুক্ত হতে পারবে। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিবিধির ওপর নির্ধারিত হবে রেড জোনের সংক্রমিতদের ভাগ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com