শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

ভারতে করোনায় মৃত্যুহার কম হওয়ার রহস্য

ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩১ হাজার তিনশ ২৪ জন। তার মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে এক হাজার আটজনের। এশিয়ার মধ্যে চীনের পরেই দেশটিতে আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও মারা যাওয়ার হার কিন্তু অ্যামেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে অনেক কম।

আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিলেন, এক দশমিক তিন বিলিয়ন জনগোষ্ঠীর ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তবে মৃত্যুহার বর্তমানে কম দেখে অনেকেই এর মধ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভারতে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করার কারণে মৃত্যুহার কমানো সম্ভব হয়েছে। অনেকের ধারণা, ভারতে তরুণ জনগোষ্ঠী বেশি হওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় এ ধরনের ফল এসেছে।

বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থিত না হলেও অনেকে দাবি করছেন, ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে গরম আবহাওয়া ও সূর্যের তাপের কারণে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম এবং মৃত্যুহারও অনেকটা কম।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখার্জি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এটা একটা রহস্য। তবে এটা বলা যায় যে, আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণে পরীক্ষা করা হয়নি। যদি আরো বেশি পরীক্ষা করা হতো, তাহলে উত্তরটা জানা যেত।

ধারণা করা হচ্ছে, ভারতজুড়ে লকডাউন ৩মে খুলে দেওয়া হতে পারে। এর আগে গত ৬ মার্চ ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সকল রাজ্যে গণ জমায়েত বন্ধ করা দরকার।

তার পরেও বিভিন্নখানে ধর্মীয় জমায়েতের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলীগ জামাতে উপস্থিত হওয়ার জেরে ৪২৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত সরকারের ইচ্ছাতেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক, করোনাভাইরাসে মৃতের সঠিক তালিকা প্রকাশ পাচ্ছে না। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৮০ শতাংশ মৃত্যু বাড়িতে ঘটছে। মাত্র ২০ শতাংশ মৃত্যু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে অনেকে মারা গেলেও তারা পরীক্ষা করানোর সুযোগই পাচ্ছে না।

ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে বেলজিয়ামের ইসমে ইউনিভার্সিটি হসপিটালের চিকিৎসক প্রফেসর জঁ লুইস বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে জ্বর এবং করোনার লক্ষণ বহন করছেন, তিনি হয়তো করোনায় আক্রান্ত। তবে অন্য কারণও হতে পারে। কিন্তু সেই ব্যক্তি মারা গেলে তো আর করোনায় মৃতের তালিকায় সংখ্যাটা যোগ হচ্ছে না।

সূত্র : ৯নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com