মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

নওগাঁর মহাদেবপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

জিটিবি নিউজঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রাণঘাতি করোনার মধ্যেও বন্ধ নেই কথিত সাংবাদিকদের চাঁদাবাজী। তাদের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মহাদেবপুরের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ জনগন। অনেকেই ওইসব কথিত সাংবাদিকদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। কিন্তু এবার সব ভয় উপেক্ষা করে নিউ মালঞ্চ কিন্ডার গার্টেনের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন ২৮ জুন রোববার সকালে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সহকারী পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) এবং মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বরুণ মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহাদেবপুর দর্পণ এর বার্তা সম্পাদক কাজী শামসুজ্জামান মিলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহাদেবপুর দর্পণ এর সম্পাদক কিউএম সাঈদ টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী সুমন, প্রচার সম্পাদক আমিনুর রহমান খোকন গত ৬ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আব্দুল মতিনের কলাবাগানস্থ বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে দেখেন যে মতিন মাষ্টার সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ৬-৭জন সমাপনী পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। এ সময় তারা কেন পড়াচ্ছেন অভিযোগ এনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।

এ সময় তার স্ত্রী কথা বলতে গেলে তার সাথেও বৈরী আচরণ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের ভয়ে ও মানসম্মান রক্ষার্থে দরকষাকষির এক পর্যায়ে একজন অভিভাবকের নিকট থেকে ধার করে ১২ হাজার টাকা বরুন মজুমদারের হাতে তুলে দেন। এ সময় তারা বলেন যে, এই টাকা মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের নামে জমা হবে এবং ঘটনাটি অন্য কাউকে না বলার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে চলে যান। এ বিষয়ে মো. আব্দুল মতিন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৫ম শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-শোনা বিঘ্নিত হচ্ছিলো।

তই অভিভাবকদের অনুরোধক্রমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেদিনই প্রথম আমি ৬-৭ জন সমাপনী পরীক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠদান করছিলাম। এমন সময় তারা জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। তিনি আরো জানান, মহামারি করোনার কারণে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকায় এর সাথে জড়িত শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই আমার কাছে টাকা না থাকায় আমার এক অভিভাবকের নিকট থেকে ধার করে তাদেরকে টাকাগুলো দেয়।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান মিলন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রেসক্লাব, নওগাঁ, মহাদেবপুর প্রেসক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব ও থানা প্রেসক্লাব মহাদেবপুর এ প্রদান করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com