মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

কচুয়ায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হামলা ও ভাংচুর – আহত ২০

কচুয়া প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-হামলা ও দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পর কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে পাল্টাপাল্টি মিছিল, শোডাউন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এক পর্যায়ে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এতে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার ও কনস্টেবল রাছেলসহ সরকার দলীয় দু’গ্রুপের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কার্তিক রায় ও ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ও নাজমুল, যুবলীগ নেতা মানিক ও নাসিমকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন সবুজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল, কাউছার, সাগরসহ অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

সংঘর্ষ চলাকালীন কচুয়ার বিশ্বরোডে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইব্রাহীম খলিল বাদলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নিউ সৌদিয়া হোটেল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে সৌদিয়া হোটেলের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে মালিক আলী আশ্বাদ আশু মিয়া দাবী করেন।

এছাড়া কচুয়া বিশ্বরোড মডার্ন হসপিটাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিস, শিপনের সেলুন, নজরুলের ভাই ভাই প্লাস্টিক হাউজ ও সুধীরের মুদি দোকান ভাংচুর হয়।

চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, সিনিয়র এএসপি সার্কেল (কচুয়া) আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, সকালে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হলে কয়েক প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।

এ সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিবাদমান গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ধিত সভা শেষে স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল হামলার ক্ষতিগ্রস্থ দোকানপাট পরিদর্শন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com