রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

হাজীগঞ্জের ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ ভ্যেকু দিয়ে একদিনে শেষ॥ বঞ্চিত দরিদ্র শ্রমিক

গাজী মহিন উদ্দিন/মো:মোশারফ হোসেন

হাজীগঞ্জের ১১নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ এক দিনেই শেষ করার অভিযোগ উঠেছে।

২১ জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড নোয়াপাড়া বেপারি বাড়ি হইতে খালপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কারে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এসব কর্মসূচি প্রকল্প কমিটি দরিদ্র শ্রমিকদের নামে সিমকার্ড ব্যবহার করে মাস্টাররোল অফিসে জমা দিলেও, বাস্তবে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

৪০ দিনের প্রকল্পের কাজ তদারকির অভাবে সরকারি বরাদ্ধের অর্থ আত্মসাৎ করে পার পেয়ে যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িতরা।

এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, ভেকু দিয়ে সস্তায় মাটি কেটে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করছেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক।

ইউনিয়নের নোয়া পাড়া বেপারি বাড়ি থেকে খাল পাড় পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে দরিদ্র লোকজনের বদলে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের উপর চওড়া হয়ে বলেন, আমি ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছি এটা কোন অনিয়ম নয়। আমার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি অতীতেও ভেকু দিয়ে এসব প্রকল্পের কাজ করেছি কিছুই হয়নি। এ ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ.কে.এম.মজিবুর রহমান বলেন- যদি কেউ শ্রমিকের কাজ ভেকু দিয়ে করে থাকে। এমন অনিয়মের দায়ভার সে বহন করবে। এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, শ্রমিকের কাজ কোন ভাবেই ভেকু দিয়ে করার সুযোগ নেই। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, শ্রমিকের কাজ ভ্যেকু দিয়ে করার সুযোগ নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com