শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

পেঁয়াজ : পাইকারি বাজারে দাম কমেছে

জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা এখনো বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এদিকে মিয়ানমার ও মিসরের পেঁয়াজ দেশে আসার কারণে দাম কমার কথা জানাচ্ছে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা। যদিও বাস্তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছেন।

গতকাল রাজধানীর পেঁয়াজের পাইকারি আড়ত শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকায়। দুই দিন আগেও যা ছিল ১০৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, মিয়ানমার ও তুরস্কের পেঁয়াজ ৬৮-৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা, বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অর্থাৎ পাইকারি ও খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে দামের পার্থক্য ১৫-৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজে পাইকারি ও খুচরায় দামের পার্থক্য ২০-২৫ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে পাইকারি ও খুচরায় দামের এই পার্থক্য পাঁচ-আট টাকা থাকে।

পেঁয়াজ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুর মো. মাহবুবুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এই খবরে রাতারাতি খুচরা ও পাইকারি বাজারে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। পরদিন সব ধরনের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ১০৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১৩০ টাকায় ওঠে।

কারওয়ান বাজার পেঁয়াজের আড়তদার মো. সাগর বলেন, ‘মিয়ানমার ও তুরস্কের পেঁয়াজ আসায় দাম কমেছে। সামনে আরো কমবে।’

ফার্মগেট তেজগাঁও কলেজের সামনের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেল, কোনো দোকানে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা আবার কোনো দোকানে ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৯০-১০০ টাকায়। এমন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর আরো কয়েকটি বাজারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com