শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজঃনীলফামারীর ডিমলায় মাহাবুবা আক্তার(১৩)নামের ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।রবিবার(১৯ জুলাই)বিকেলে উপজেলা সদরের বাবুরহাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের দাদার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত স্কুল ছাত্রী একই এলাকার মাহাবুল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলা সদরের দিলরুবা মহিকুল শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।তবে নিহতের
পরিবারের দাবি সে অজানা কারনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে,নিহত মাহাবুবার গর্ভধারিনী মা মুত্যুবরন করার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সে দাদা মাহমুদ আলী ও দাদী মর্জিনা বেগমের সাথেই ওনাদের বাড়িতে বসবাস করে লেখাপড়া করতেন।তার বাবা ও সৎ মা আলাদা বাড়িতে একই এলাকায় থাকতেন।ঘটনার দিন বিকেলে মাহাবুবাকে খুজে পাওয়া না গেলে অনেক খোজা-খুজির
পর দাদার বাড়ির শয়ন ঘরের রুয়ার টানার সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান তার দাদী ও বড় ভাই আশিক(১৭।তারা সহ স্থানীয়রা দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমরা খবর পেয়ে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে আসল কারন।
নীলফামারীতে নতুন আরও ৪ জন করোনায় আক্রান্ত
জিটিবি নিউজঃ নীলফামারী জেলায় নতুন করে আরও ৪জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।রবিবার(১৯ জুলাই) রাতে সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।জেলায় এ নিয়ে সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৬ জন। নতুন ৪জন করোনা আক্রান্তের সকলেই সৈয়দপুর উপজেলার।তাদের মধ্যে মধ্যে সৈয়দপুর শহরের নয়াটলা এলাকায় ৩ জন ও গোলাহাট রেল কলোনী এলাকার ১ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,জেলার করোনা আক্রান্তের ৫৮৬ জনের মধ্যে নীলফামারী সদরে ২৬৮জন, জলঢাকা উপজেলায় ৮৯জন, সৈয়দপুর উপজেলায় ৮০জন, ডিমলা উপজেলায় ৬০জন, ডোমার উপজেলায় ৫১জন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৩৮জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪৬। চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০১জন। মৃত্যুবরন করেছেন ২ নারীসহ ৯ জন। এছাড়াও নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে ৫৫ জন চীনা নাগরিক সহ এ পর্যন্ত উত্তরা ইপিজেডে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩২জন।