রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

সারাদেশের এক যোগে চা বাগান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

সিলেট প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সারাদেশের এক যোগে ২৩২ টি সকল চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি ১৯ মাস পার হলেও চা বাগানের মালিকরা ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করতে নানান তালবাহানা করছে। সরকারের কাছে দাবী তাদের মজুরি বৃদ্ধি না করা হলে তারা লাগাদার আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।

আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দেশের সকল চা বাগানে একযোগে ধর্মঘট শুরু হয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, আজ সকাল থেকে দেশের ২৩১টি চা বাগানের প্রায় দেড় লাখ চা শ্রমিক ধর্মঘট পালন করেছেন। সকাল থেকেই শ্রমিকদের ধর্মঘট সর্বাত্নকভাবে পালিত হচ্ছে।

পৃথক পৃথকভাবে শ্রীমঙ্গল শহরে বেশ কয়েকটি চা বাগানেরর শ্রমিকরা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্ত্বরে কয়েক শত শ্রমিকরা অবস্থান করে। মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এদিকে ভৈরববাজার মাজদিহি চা বাগানের শ্রমিকরাও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। ভৈরব বাজার থেকে কালাপুর বাজার পর্যন্ত র‍্যালী বের করে । এসময় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সবাই কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। পরে দুপুর ১ টার দিকে দুই সহস্রাধিক চা শ্রমিকরা।

সরেজমিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভৈরববাজার মাজদিহি চা গিয়ে দেখা যায়, চা শ্রমিকরা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় । এর আগে তারা ভৈরব বাজার মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে এক ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে রাখেন।

তারা শোকের মাস বিদায় আগামিকাল ১৪ ও ১৫ আগষ্ট তাদের অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। আগামি মঙ্গলবার ১৬ আবার আন্দোলনে যাবে তারা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে সর্বাত্নক ধর্মঘট পালন করছি। আগামী দুই দিন বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি ও শোক দিবসের কারণে আন্দোলন স্থগিত থাকবে। আমরা আজ বৈঠকে বসে পরবর্তী করনীয় ঠিক করব।

এদিকে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আন্দোলনে যাওয়া শ্রমিকদের উচিত হয়নি। এটি শ্রম আইনেরও পরিপন্থী। চায়ের এই ভরা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com